ঢাকা,শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

শ্রী কৃষ্ণের আর্বিভাব তিথী উপলক্ষে

চকরিয়ায় শুরু হচ্ছে চারদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্টান

মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া :: ভগবান শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথী উপলক্ষে চারদিনব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্টানমালার আয়োজন করেছে কক্সবাজারের চকরিয়া জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ ও নিত্যানন্দ গীতা সংঘ। শুক্রবার (১৯ আগষ্ট) চকরিয়া কেন্দ্রীয় হরি মন্দির প্রাঙ্গনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্টানে শুভ সুচনা হবে। সোমবার (২২আগষ্ট) ভোরে পূর্ণাহুতির মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটবে।

শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথী যাতে সুষ্ঠ ও সুন্দর এবং শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করতে পারে সেজন্য উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্ততিও নেয়া হয়েছে।

শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক নারায়ন কান্তি দাশ বলেন, প্রতিবছরের মতো এইবারও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পরমেশ্বর ভগবার শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথী পালন করে আসছি। গত দুই বছর করোনা মহামারীর কারণে অনুষ্টানটি পালন করতে পারিনি। তাই এইবার আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা হবে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের আর্বিভাব তিথী।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৮টায় ধ্বজা উত্তোলনের মাধ্যমে অনুষ্টানের শুভ সুচনা করা হবে। এদিন বিকাল ৩টায় আলোচনা সভা শেষে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্টিত হবে। এই মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ নিতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সনাতনধর্মীরা যোগদান করবে। একইদিন সন্ধ্যায় শ্রীমৎ গীতা পাঠ ও রাতে শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী পুজা অনুষ্টিত হবে।

এছাড়াও শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সংগীত প্রতিযোগীতা অনুষ্টিত হবে। সন্ধ্যায় মহানাম যঞ্জের শুভ অধিবাস এবং রাত ১০টায় শ্রী কৃষ্ণের জন্মলীলার উপর গীতিনাট্য অনুষ্টিত হবে। মহানাম যঞ্জের শুভ অধিবাস করবেন শ্রী শ্রী ১০৮ স্বরুপ বাবাজী মহারাজ।

রবিবার (২১আগষ্ট) ভোরে শুরু হবে অষ্টপ্রহরব্যাপী মহানাম যঞ্জ। এতে নামসুধা পরিবেশন করবেন শ্রী সমাধি মন্দির সম্প্রদায় (নোয়াখালী), শ্রী কৃষ্ণ চৈতন্য সম্প্রদায় (ভোলা), শ্রী গুরু অচ্যুতানন্দ সম্প্রদায় (চকরিয়া) এবং শ্রী বৈষ্ণব নারায়ণ দে সম্প্রদায় (ভোলা)। সোমবার (২২আগষ্ট) ভোরে পূর্ণাহুতির মাধ্যমে চারদিন ব্যাপী অনুষ্টানের সমাপ্তি ঘটবে।

শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উপদযাপন পরিষদ,চকরিয়া উপজেলা সভাপতি শ্রীদুল রঞ্জন দাশ বলেন, শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথী আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সবধরনের প্রস্ততি শেষ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রশাসন, রাজনৈতিক, সামাজিক এবং ধর্মীয় সংগঠনের কর্মকর্তাদের নিমন্ত্রণ করা হয়েছে। চারদিন ব্যাপী অনুষ্টানে আগত ভক্তদের জন্য মহাপ্রসাদেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই অনুষ্টান যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারি সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের জন্য প্রধান ধর্মীয় উৎসব শ্রী কৃষ্ণের শুভ আর্বিভাব তিথী। এই উৎসব যাতে সুষ্টু ও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন,এই অনুষ্টান ঘিরে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে গোয়েন্দ নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।

 

পাঠকের মতামত: